দ্বিপ্রহরে ঝাঁপি খুলে বসলে কী
দেখা যাবে, তা যে কারোর আন্দাজ।

কোনোদিন ভরাপেটে গাত্র
এলিয়ে দেওয়া বিড়ালের লেজ দোলে
ছাদঘেঁষে; রোদপোহানো পাখির
আ-কাপেলা শুনতে শুনতে-
পড়ি, ‘রাহাতে অউর ভি হ্যায় ভ্বাসল
কি রাহাত কে সিওয়া’;
ফিরে আসা বিদ্যুতের ঝাপটায় পাখা ঘুরে;
ঘাম শুকায়, ঘুম জমা হয় চোখ-পর্দায়।

কোনোদিন মেঘ গুড়গুড়,
শিকড়ের মতন গজিয়ে উঠে বাজ;
টিনের চালে বর্ষা যন্ত্রণা,
না তর্জনীর চালে যন্ত্রসঙ্গীত? শুনি-
‘কী ভীষণ কৃপণ হয়ে ভাবি
জীবনের কাছে আছে একটাই দাবি’;
উত্তরী বাতাস কাঁথার মাঠে ঢেউ খেলায়;
জানালার পর্দা কাঁপে, বুনে তন্দ্রাজাল।

জ্ঞানলোপের আগে মনে পড়ে, মে মাসে
নাকি স্বাতী তারা দেখার সেরা সময়;
দৃষ্টিলোপের আগে মনে করার চেষ্টা,
শেষ কবে তার সাথে দেখা হয়েছিলো।